হস্তমৈথুন বা Masturbation বা স্বমেহন বর্তমানে একটি বড় সমস্যার নাম। হস্তমৈথুন নিয়ে ইসলামী পণ্ডিতগণের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। পবিত্র কুরআনে সরাসরি হস্তমৈথুন নিয়ে কিছু বলা হয় নি, তবে কিছু হাদিসে তা পরোক্ষভাবে উল্লেখ হলেও তা সরাসরি বা স্পষ্টভাবে নির্দেশিত হয় নি অথবা হাদিসের বিশুদ্ধতা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, যেহেতু ইসলামে কেবল স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যকার যৌনক্রিয়া ও শারীরিক মিলন অনুমোদিত এবং বিবাহ বহির্ভুত অবস্থায় যৌনাঙ্গের হেফাজতের নির্দেশ রয়েছে। তাই, সাধারণভাবে হস্তমৈথুন ইসলামে অনুমোদিত নয়। প্রায় সকল মুসলিমই এটাকে গর্হিত কুকর্ম মনে করেন, এমনকি যারা এতে অভ্যস্ত তারাও।
হস্তমৈথুন এমনই একটি কাজ যার অর্থ নিজেকে কলুষিত করা।
এটা একটা জঘন্য কলুষ বা পাপবোধ যুক্ত কাজ। হস্তমৈথুন এমনই গর্হিত বা গোপনীয় পাপ যা মানুষ চোরের মত মানবচক্ষুর অন্তড়ালে করে এবং তা প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করে।*** যৌনাঙ্গের হেফাযত করা আল্লাহর নির্দেশ:
আল্লাহ তা’আলার দেয়া বীর্যক্ষয় করার জন্য যে ব্যক্তি হস্তমৈথুনের চর্চা করে বা অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন তার সেই অঙ্গ পরকালে সাক্ষী দেবে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﻧَﺨْﺘِﻢُ ﻋَﻠَﻰٰ ﺃَﻓْﻮَﺍﻫِﻬِﻢْ ﻭَﺗُﻜَﻠِّﻤُﻨَﺎ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﺗَﺸْﻬَﺪُ ﺃَﺭْﺟُﻠُﻬُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻜْﺴِﺒُﻮﻥَ [ ٣٦:٦٥ ]
“সেই দিন আমি তাদের মুখের উপর মোহর মেরে দেব, বরং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে, আর তাদের পা সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত সে-সন্বন্ধে। ” -(৩৬:৬৫)
এছাড়াও আল্লাহ্ তা'য়ালা আরও বলেন,
"মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।" (২৪:৩০-৩১)
হাদীস শরীফে বলা আছে,
রসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন-“যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুইপায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের)
নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব । ” –(বুখারী, মিশকাত)
উক্ত হাদিস থেকে প্রমানিত হচ্ছে, এ দু’টো অঙ্গ পাপের জন্য খুব সুবিধার। যদি কোন ব্যক্তি এ দু’টো অঙ্গের হেফাজত করে, বিশেষ করে যুবক/যুবতী অবস্থায় যৌনাঙ্গের হেফাজত করে এবং কোন প্রকারেই হস্তমৈথুনের চেষ্টা না করে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশের বিরাট সুযোগ পেয়ে যাবে।
একদা রসূলুল্লাহ্ (সঃ) যুবকদের লক্ষ্য করে বলেন, "হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখে, তাদের বিবাহ করা উচিত। কেননা বিবাহ দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর যে বিবাহের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখে না, তার উচিত (কামভাব দমনের জন্য) রোযা রাখা।” -(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত)
রসূলুল্লাহ্ (সঃ) আরও বলেনঃ “তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তা’আলা নিজের দায়িত্ব মনে করেন। (১) ঐ খতদাতা ব্যক্তি, যে তার খতের মূল্য পরিশোধের চেষ্টা করে। (২) সে বিবাহিত যুবক, যে চরিত্রের হিফাজতের উদ্দেশে বিবাহ করে। (৩) সে মুজাহিদ, যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।” -(হাসানঃ আত-তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত)
তাই পুরুষদের যৌনাঙ্গকে শুধুমাত্র স্বীয় স্ত্রী ব্যতীত সর্ববস্থায় হেফাযত করতে হবে।
*** ইসলামে হস্তমৈথুন হারাম ?
"মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র; যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত, যারা যাকাত দান করে থাকে এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এর বাইরে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।" (২৩:১-৭)
আয়াতে এটা সুস্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, স্ত্রী ছাড়া আর কারো দ্বারা বা কোন কিছুর দ্বারা যৌন কামনা জাগ্রত বা চরিতার্থ করা সীমালংঘন তথা হারাম। তাই আমাদের বুঝতে হবে যে, নারীর সাথে বিবাহ-বহির্ভূত যৌনকর্ম করা যেমন হারাম, তেমনি হস্তমৈথুন করাও ইসলামে নিষিদ্ধ বা হারাম।
রসূলুল্লাহ্ (সঃ) আরও বলেনঃ “ উত্তম চরিত্র হল পুন্য। আর যে কাজ তোমার মনে খটকা সৃষ্টি করে এবং লোকের কাছে প্রকাশ হওয়াকে তুমি পছন্দ কর না, তা হল পাপ।” -(মুসলিম, মিশকাত)
অশালীন, অশোভনীয় ও অন্যায় কাজে মনে সঙ্কোচবোধ করার নাম হলো লজ্জা বা হায়া। যার লজ্জা নেই সে পারে হস্তমৈথুনে লিপ্ত হতে।
লজ্জা বা হায়া সম্পর্কে
রসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেনঃ “ লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে আনে।” -(বুখারী ও মুসলিম)
মোটকথা, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে স্ত্রী ছাড়া যৌনকর্ম সম্পাদনের যত উপায় আছে তার সবকিছুই পরিত্যাগ করতে হবে। তাই যৌনাঙ্গকে সংযত করার আল্লাহর নির্ধারিত উপায় হচ্ছে, ধৈর্যধারণ করা। যদি এটিও সম্ভব না হয়, তবে তার উচিত বিবাহ করা বা রোজা রাখা।
*** হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিক বা হস্তমৈথুনের অপকারীতা:
ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে হস্তমৈথুন যেহেতু নিষিদ্ধ, সেহেতু হস্তমৈথুনের ক্ষতি অবশ্যই অাছে। ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন হারাম এবং কবীরা গুনাহ। যারা হস্তমৈথুন করে, শরীয়ত অনুযায়ী তারা সীমালংঘনকারী। এছাড়াও হস্তমৈথুন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে।
হস্তমৈথুনের ফলে যে বীর্যপাত ঘটে সেই বীর্যে কোটি কোটি শুক্রাণু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। হস্তমৈথুনের ফলে কুরআনে যৌনাঙ্গের যে হেফাজতের কথা বলা হয়েছে, সরাসরি তার বিরুদ্ধে যাওয়া হয়। এছাড়াও এর ক্ষতিকর দিক ছাড়া কোন ভালো দিক নেই।
পুরুষ বা নারী হস্তমৈথুন করলে প্রধান যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে; মানসিক ও শারীরিক সমস্যাই প্রধান:
* হস্তমৈথুন একটি বিকৃত মানসিক ব্যাধি। মানসিক সমস্যার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল অনেক সময় মানসিক রোগী বুঝতেই পারে না যে তার মানসিক সমস্যা আছে!
* হস্তমৈথুনের স্রষ্টাকে ভুলে যেতে সাহায্য করে। যেমন, বেশিরভাগ সময়ই হস্তমৈথুনকারীরা অপবিত্র থাকে। পবিত্র থাকাটা তাদের জন্য কঠিন। কারণ Leakage of semen. অপবিত্র থাকার দরুন তারা নামায পড়তে পারেন না।
হস্তমৈথুনকারীদের মাথায় সারাদিন Sex বিষয়াদি ঘুরপাক খায়। ফলে সে তার জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ভুলে যায়।
* হস্তমৈথুনকারীরা নিজেদের যৌন উত্তেজনায় উত্তেজিত করার জন্য অশ্লীল ছবি, সাহিত্য, Sex Chat, Sex Games ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকে যা তাদের এবং ইসলামের মাঝে মারাত্বক দূরত্ব সৃষ্টি করে।
* হস্তমৈথুনের ফলে অস্থিরতা ও ভয়-ভীতি অধিক হারে বেড়ে যায়। কারণ, যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ্ তা'আলাকেই ভয় করবে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে অন্য সকল ভয় থেকে মুক্ত রাখবেন। আর যে ব্যক্তি এটা করবে না তাকে সকল ভয় এমনিতেই ঘিরে রাখবে।
* হস্তমৈথুন মানুষের Stress দূর করতে পারে না বরং তা আরো Stress বয়ে নিয়ে আসে। আপনি যে Stress দূর করার জন্য হস্তমৈথুন করছেন, সে হস্তমৈথুনই আপনার বৈবাহিক জীবনে চরম Stress-এর সৃষ্টি করবে যদি না আপনি এই অভ্যাস ত্যাগ করেন।
এজন্য আল্লাহ্ তা'আলার ইবাদত করলেই, তাঁকে স্মরণ করলেই মানসিক সমস্যা দূর হবে।
আল্লাহ্ তা'আলা বলেন--"...জেনে রাখো,আল্লাহ্-র স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়।" (রা'দ :২৮)
* তাছাড়া হস্তমৈথুন মানুষকে Sex Mad করে ফেলে। হস্তমৈথুনকারীরা মনে করেন "Sex is life"। এককথায়, হস্তমৈথুন মানুষকে ধীরে ধীরে অশ্লীলতার জগতে নিয়ে যায়।
* মস্তিষ্কে বীর্য তৈরিতে যে হরমোনের প্রয়োজন হয়, হস্তমৈথুনের ফলে সেই হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন মস্তিষ্কের ওপর বাড়তি চাপ পড়ার কারণে মাথাব্যাথা সহ মস্তিষ্কের নানা ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
* পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক (Impotent) হয়ে যায়। অর্থাৎ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায় ।
* বীর্য তৈরি হয় অন্ডকোষে, তাই হস্তমৈথুনের ফলে অণ্ডকোষে বীর্যরস তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটে, অণ্ডথলিতে ব্যাথার সৃষ্টি হয় ।
* পুরুষের আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত বা দ্রুত বীর্যপাত। এর ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে যৌন তৃপ্তি দিতে অক্ষম হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক টেকসই হয় না।
* অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০মিলিয়নের আরও কম। যার ফলে সন্তান উৎপাদনে বা জন্মদানে ব্যর্থতা দেখা দেয়। একজন পুরুষের স্বাভাবিক সুস্থ বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা প্রায় ৪২কোটি। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে, কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হয় না।
* হস্তমৈথুনের ফলে যৌনাঙ্গে ব্যাথা ও কিছুটা বিকৃতি ঘটে, প্রসাবের রাস্তায় জালাপোড়া বেড়ে যায়।
* অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়, ফলে যৌন চাহিদা কমে যায়।
* হস্তমৈথুনের প্রভাবে স্বাস্থ্যহানি ঘটে। বিশেষ করে উঠতি বয়সী তরুণ ও তরুণীদের বাড়ন্ত সময়ে হস্তমৈথুন বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে।
*** হস্তমৈথুন শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি করে-
১। হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত নারী বা পুরুষ বিবাহ পরবর্তী যৌন জীবনে সুখী হতে পারে না। কারণ হস্তমৈথুন তাঁদের প্রকৃতি প্রদত্ত যৌনতাকে নষ্ট করে দেয়।
২। চোখের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। চোখ দিয়ে সবকিছুকে ঘোলা ও ঝাঁপসা দেখা যায়।
৩। হস্তমৈথুনের ফলে স্মরণ শক্তি কমে যায়, সবকিছুতে অবসাদের ছায়া পড়ে।
৪। মাথা ধরা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয়।
৫। লিকেজ অব সিমেন (Leakage of semen) এর সমস্যা অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয়।
৬। এছাড়াও নার্ভাস সিস্টেম, হার্ট, ডাইজেসটিভ সিস্টেম, ইউরিনারি সিস্টেম এবং আরো অন্যান্য সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।
*** হস্তমৈথুন বা স্বমেহনের পক্ষ নিয়ে কিছু কথা :
কিছু লোক হস্তমৈথুনের পক্ষে সাফাই গায় যে, হস্তমৈথুনের ক্ষতি নেই, হস্তমৈথুনে পাপ নেই ! তারা আবর্জনার উচ্ছিষ্টকে খোড়া যুক্তি হিসেবে এর পক্ষে দাঁড় করায়। যার কোন ধর্মীয় এমনকি বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই।
তবে বিশেষ ক্ষেত্রে হস্তমৈথুনের পক্ষে হাতে গোনা কয়েকটি হাদিস বা ফতোয়া দৃষ্টিগোচর হয়। তাও এসব হাদিসের সূত্র অত্যন্ত দূর্বল। যা বর্জন করাই শ্রেয়।
ইবনে কাসীর সহ কিছু অপ্রধান হাদীসগ্রন্থের হাদীসে হস্তমৈথুনকারীকে অভিশপ্ত এবং হস্তমৈথূনকে স্বীয় হস্তের সাথে ব্যভিচার বলা হয়েছে।
প্রাথমিকযুগের অধিকাংশ আলেমগণ একে অবৈধ বলে সাব্যস্ত করেছেন এবং আল-তারিবিয়াহসহ পরবর্তী সময়ের কিছু আলেম ব্যভিচারের আশঙ্কা থাকলে; যদি হস্তমৈথুন করে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তবে সেরকম ক্ষেত্রে একে বৈধ বলে অভিমত দিয়েছেন।
আহমদ ইবনে হাম্বলের মতে, বৈধ যৌনসঙ্গীর অভাবে সমস্যায় ভুগছেন এমন নারী পুরুষ, মুসাফির ও বন্দীদের জন্য তা বৈধ।
প্রাপ্ত হাদীস অনুসারে সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মতে, সাধারণ অবস্থায় এটি পাপ এবং তারা এই প্রবণতাকে সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া, অবিবাহিত যুবকদের ইসলামে সামর্থ থাকলে দ্রুত বিয়ে করার আদেশ দেয়া হয়েছে এবং সামর্থ না থাকলে রোজা রেখে ধৈর্য্য ধারনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পূর্ব থেকেই সর্বদা একটি অভিমত প্রচলিত ছিল যে, ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে তার তুলনায় ছোট পাপ হিসেবে সে সময় হস্তমৈথুনের অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
তাই শ্রেণিগতভাবে এটি বলা ভুল হবে যে, প্রাথমিক ইসলামী যুগের সকল ইসলামী পণ্ডিতগণ এর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় সর্বসম্মতভাবে রাজি ছিলেন। হস্তমৈথুনকারীদের মধ্যে যারা নিজ সতীত্ব রক্ষার স্বার্থে হস্তমৈথুন করে এবং যারা সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও যৌন আকাঙ্ক্ষাকে তৃপ্ত করতে হস্তমৈথুন করে, এই দুই দলকে ফিকহবিদগণ আলাদা আলাদা দৃষ্টিতে বিচার করে থাকেন।
আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের ধৈর্যশীল করুন... আমিন ।
লিঙ্গ মোটা ও শক্ত করার সহজ উপায়
স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাবার উপায়
এই নিয়ম মেনে চললে সেক্সে পাবেন পরিপূর্ণ তৃপ্তি
সার্চ JounoSeba : নারীর স্বমৈথুন বা পুরুষদের হস্তমৈথুন কি উচিৎ বা অনুচিত ...অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? স্বপ্নদোষ এড়ানো যায় ... পুরুষদের হস্তমৈথুন বিষয়ক... হস্তমৈথুনের পর আমার অণ্ডকোষ ব্যথা করে, লিঙ্গ ফুলে ওঠে। তলপেট ব্যথা করে, পিঠের নিচের দিকে ব্যথা করে। এটা কি ...পুরুষদের হস্তমৈথুন বিষয়ক প্রশ্নোত্তর। প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করলে অণ্ডকোষের কি কোনো ক্ষতি হয়? হস্তমৈথুন ও স্বপ্নদোষ কি যৌন স্বাস্থের জন্য হুমকি? যারা হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত বা স্বপ্নদোষে আক্রান্ত, করলে কি ক্ষতি আছে? দৈনিক হস্তমৈথুন করলে কি কোন সমস্যা ? মনে হবে আর একটু হস্তমৈথুন করলেই বীর্যপাত হবে, বীর্য আটকাতে সক্ষম হও, আটকাও; কোন ক্ষতি ... হস্তমৈথুন করা কি ভাল? what is the causes of masterbation ?? if do daily ?? -গুপ্তকথা. হস্তমৈথুন-করা-কি..বলা হয় যে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে অহেতুক বীর্যস্খলনে। হস্তমৈথুনের ভয়ংকর সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি ... হস্তমৈথুনের ফলে শরীরের, হস্তমৈথুন এর কারণে কি কি ক্ষতি হয় - হস্তমৈথুন মানে যৌন পরিতোষের জন্য পুরুষের লিঙ্গ অথবা নারী তার ভগাঙ্কুর ঘর্ষণ এবং স্তন স্পর্শ করে ... হস্তমৈথুনের মারাত্মক সব ক্ষতিকর দিক দেখে নিন – সতর্ক হন ! হস্তমৈথুনের ফলে শরীরের যে ক্ষতি হয় তা কি পূরণ করা সম্ভব? তাহলে . জৈবিক চাহিদা মেটানোর সময়, হস্তমৈথুনের ভয়ংকর ক্ষতি ও ছাড়ার উপায, Bangla Sex .. banglasextips . মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে। হস্তমৈথুন করার ক্ষতি - Masturbation হস্তমৈথুন. হস্তমৈথুনের ফলে যে সব ক্ষতি হয়. হস্তমৈথুন করলে কি কি ক্ষতি হয়? –প্রতিদিন হস্তমৈথুন করলে কি কি ক্ষতি হবে ... হস্তমৈথুন : ক্ষতির কারণ ও বাচার উপায় ...হস্তমৈথুন মানবজীবনে মারাত্বক সমস্যা সৃষ্টি করে।শুধু ইসলাম নয় কোন ধর্মে হস্তমৈথুনকে সমর্থণ করে না... হস্তমৈথুনের বৈধতা নিয়ে ইসলাম কি বলে? আবার যা মানুষের ক্ষতি করে তা কখনো হালাল নয়। পশ্চিমা বিশ্ব হস্তমৈথুন এর খারাপ দিকগুলো উল্লেখ না করে বরং এর প্রচারণা ... Over masterbation, masterbation of men and women.
No comments:
Post a Comment